আমার দেশ/Amar Desh
A Brief introduction of Amar Desh:
সত্তর দশকের পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের ধারাতে দেখা গেল ছাত্রদের মধ্যে এক বিপুল অস্থিরতা ও অসঙ্গত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই নতুনভাবে প্রস্তুতি নেবার কথা ওঠে। নতুন প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়ে। অথচ, কীভাবে এই আন্দোলন পরিচালিত হবে বা ছাত্রদের কীভাবে সংগঠিত করতে হবে, তার কোনও সঠিক পরিকল্পনা ছিলনা। ফলত, মতপার্থক্য, বিতর্ক ও আলাপ-আলোচনা অবকাশ থেকে যায়। সাতাত্তরের আগের পর্বে, কলকাতার মেডিকেল কলেজ, স্কটিশ চার্চ কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ সহ বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররা মিলিতভাবে ‘রেড গার্ড’ নামক একটি সংগঠন তৈরি করে। এই ‘রেড গার্ড’-এর ব্যানারে কিছু নতুন উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। সমাজে নকশালপন্থীদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার লক্ষ্যে কিছু রাজনৈতিক ক্যাম্পেইন চালানো হয়। কলকাতা ছাড়িয়ে আসানসোল, দুর্গাপুর, উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহ, চব্বিশ পরগণা সহ বেশিরভাগ জেলার ছাত্ররা মিলিতভাবে একই লক্ষ্যে চেষ্টা জারি রাখে। নয়া রক্তে জোয়ার ছিল ঠিকই। কিন্তু এই সংগঠনগুলো পুরনো চালেই নতুন উদ্যোগ নিতে থাকে। যার ফলাফল মোটেই লাভজনক ছিলনা। জনমত গঠনে ভাঁটা থেকে যায়। সুতরাং এই ব্যর্থতাকে ঘিরে বিতর্ক চলতে থাকে।
এমতাবস্থায়, কমরেড বিনোদ মিশ্র ছাত্রদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রদের চেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলন পুনর্জাগরণের উদ্যোগ নিশ্চিত ভালো, এহেন কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পুরনো পদ্ধতি অবলম্বন করে পেছনের দিকে হাঁটতে থাকা আর যাবেনা। এমন কিছু নতুন উদ্যোগ নিতে হবে যার জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং প্রাসঙ্গিকতা আছে। মূলত এই সময়ের দাবি থেকেই ‘আমার দেশ’ পত্রিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পত্রিকার সূচনাকালে (১৯৭৯ সাল) ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, এমন কমরেডরা ছাড়াও সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের কমরেডরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পার্টির অবস্থান স্পষ্ট করতে প্রচারের প্রয়োজন ছিল। আর সেই বার্তা প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল ‘আমার দেশ’ পত্রিকা।
১৯৮২ সাল, যখন অল বেঙ্গল স্টুডেন্টস্’ অ্যাসোসিয়েশন (ABSA) তৈরি হল, তখন ‘আমার দেশ’ পত্রিকা ABSA-এর মুখপত্র হিসেবে বিভিন্ন কলেজে ছাত্র কমরেডরা নিয়মিত বিক্রি করতেন।
এরপর ১৯৯১ সালে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস্’ অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। আবার সারা ভারতের ছাত্ররা মিলে পুরনো ভুলভ্রান্তি শুধরে নিয়ে ধীরে ধীরে পরিধি বাড়াতে থাকে। বাংলার ছাত্ররা সময়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে জনমত গঠন করে। বিহার, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও বহু আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছে AISA-র সাথীরা। AISA-র শুরু থেকে আইসা পঃবঃ রাজ্য কমিটির মুখপত্র ছিল ‘আমার দেশ’ পত্রিকা। বর্তমানে এই পত্রিকার নামে খানিক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আইসা পঃবঃ রাজ্য কমিটির মুখপত্র ‘প্রতিরোধে আমার দেশ’। ‘প্রতিরোধে আমার দেশ’ দ্বিমাসিক পত্রিকা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আইসা’র পরিচিতি বাড়াতে, আমাদের রাজনীতি জনগণের মধ্যে বিস্তারের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা আজও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং আশা করা যায় আগামীদিনে ‘প্রতিরোধে আমার দেশ’ পত্রিকার মাধ্যমে সংগঠনের ভিত্তি আরও মজবুত হবে, বৃদ্ধি আরও মসৃণ হবে।
In the course of students’ movement after the 70s, a state of great discomposure and confusion was observed among the student community. Thus the question of starting preparations afresh arose naturally. New endeavours and a new vision became necessary. However, there was no proper design as to how the movement would be led or how the students would be organised, therefore leaving room for ideological differences, debates and discussions. Before 1977, students from numerous colleges including Calcutta Medical College, Scottish Church College and Presidency College created the organisation named ‘Red Guard’ . Some new initiatives were undertaken under this organisation’s banner. Campaigns were conducted to establish the existence of Naxalites in society. Students from districts beyond Kolkata like Asansol, Durgapur, districts of North Bengal, the two 24 Paraganas, etc., collectively worked towards this end. Young blood brought strength and hope indeed, but these organisations continued planning new initiatives using the same old currency. The outcome was not at all beneficial and there remained a deficiency in generating mass opinion. Thus, debates continued regarding this failure.
It was in this situation that Comrade Vinod Mishra approched the students. He said that students’ efforts and the enterprise to revive the students’ movement was certainly good and that such tasks needed to done regularly. However, retracing footsteps by following the old methods would be an unaffordable mistake. Such initiatives needed to be organised that would have acceptance and relevance among the masses. Essentially, the decision to publish the magazine ‘ Amar Desh ‘ was made on the basis of the demands of the times. In the beginning years of this magazine, (from 1979), comrades of the cultural front played an active role in its workings alongside the activists directly involved in the students’ movement. The Party stand regarding the overall national situation needed to be communicated to the masses and ‘ Amar Desh ‘ became the bearer of this message.
In 1982, when All Bengal Students’ Association (ABSA) was created, ‘ Amar Desh ‘ was sold by student activists in numerous colleges as ABSA’s central organ.
Later, in 1991, All India Students’ Association (AISA) was formed. Yet again, students across the country unitedly rectified past mistakes and worked towards gradually increasing their periphery. In West Bengal, students gathered mass opinion in their favour by organising campaigns in accordance with the demands of the times. AISA activists have been at the forefront of numerous movements in states like Bihar, Delhi, West Bengal, Uttar Pradesh, etc. ‘Amar Desh’ has been the central organ of AISA West Bengal State Committee since the organisation’s birth in 1991. At present, the name of this organ has changed to ‘Protirodhe Amar Desh’.
‘ Protirodhe Amar Desh ‘ is a bi-monthly magazine. It plays a crucial role even today in propagating AISA’s ideology among the masses and in introducing the organisation to students across the districts of West Bengal. It is hoped that the magazine would further strengthen the organisation’s foundation in days to come.